গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধের ঘোষণা ইসরায়েলের, যুদ্ধবিরতি নিয়ে অনিশ্চয়তা
ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সব ধরনের ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ রোববার দেশটি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, হামাস যদি যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব না মানে,
তাহলে আরও কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।
হামাসের অভিযোগ: যুদ্ধাপরাধ করছে ইসরায়েল
ইসরায়েলের এই ঘোষণার পর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস একে যুদ্ধবিরতির গতি অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা বলে অভিযোগ করেছে। তারা জানিয়েছে:
“গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করা নিপীড়নের একটি সহজ পদ্ধতি, এটি একটি যুদ্ধাপরাধ এবং যুদ্ধবিরতির চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন।”
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ, দ্বিতীয় ধাপে অচলাবস্থা
প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল, যার আওতায় কিছু
মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ পেয়েছিল গাজা।
শনিবার প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শেষ হয়েছে, কিন্তু দ্বিতীয় দফার জন্য কোনো সমঝোতা হয়নি।
হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত হলে তারা অবশিষ্ট
জিম্মিদের মুক্তি দেবে।
রমজান ও পাসওভার উপলক্ষে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রস্তাব
ইসরায়েল বলেছে, পবিত্র রমজান মাস এবং ইহুদি উৎসব পাসওভার উপলক্ষে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব তারা সমর্থন করে।
প্রস্তাব অনুযায়ী:
হামাসকে তাদের কাছে থাকা জিম্মিদের অর্ধেককে যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই মুক্তি দিতে হবে।
অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর।
মধ্যস্থতাকারীদের অবস্থান
যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। এই দেশগুলো হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে।
নেতানিয়াহুর বৈঠক ও সাময়িক যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে চার ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠকের পর সাময়িকভাবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে হামাস বলেছে, “যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিশ্চিত না হলে তারা প্রথম ধাপের কোনো সম্প্রসারণ মেনে নেবে না।”
গাজায় মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত
ইসরায়েলের ত্রাণ প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে গাজার মানবিক সংকট আরও বাড়তে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।