Home আন্তর্জাতিক যে চুক্তি ইউক্রেন যুদ্ধের স্থায়ী সমাধান আনতে ব্যর্থ হবে

যে চুক্তি ইউক্রেন যুদ্ধের স্থায়ী সমাধান আনতে ব্যর্থ হবে

19
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: শান্তি চুক্তি না ভূখণ্ড রক্ষা—কোন পথ বেছে নেবে কিয়েভ?

ইউক্রেনের জনগণ এখনো রুশ বাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী ও কঠিন পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতিটি ভূখণ্ডের জন্য লড়াই ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে, যা ইউক্রেনের সহ্যশক্তি ও পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার সদিচ্ছার কঠিন পরীক্ষা নিচ্ছে।

শান্তি চুক্তির চাপে ইউক্রেন—যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি কী বলছে?

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন ইউক্রেন নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। তারা দ্রুত একটি শান্তি চুক্তির পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তারা সৌদি আরবে আলোচনায় বসেন, যেখানে ইউক্রেনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

ইউক্রেনের জন্য আসল প্রশ্ন: শান্তি নাকি নিরাপত্তা?

যুদ্ধ শেষ করার জন্য আলোচনার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করলেও, ইউক্রেনের আসল প্রশ্ন হলো—শান্তির শর্ত কী হবে? যদি মূল লক্ষ্য শুধুই যুদ্ধ বন্ধ করা হয়, তবে ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে। অতীতেও দেখা গেছে, ২০১৪ সালের মিনস্ক চুক্তি সংঘাতের স্থায়ী সমাধান আনতে ব্যর্থ হয়েছে।

ইউক্রেনের জনগণের মতামত কী বলছে?

২০২৩ সালের নভেম্বরে পরিচালিত গ্যালাপ জরিপ অনুসারে, ৫২% ইউক্রেনীয় শান্তি আলোচনার পক্ষে থাকলেও, মাত্র ২৭% মানুষ ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। অর্থাৎ, অধিকাংশ ইউক্রেনীয় কোনো দখলদারিত্ব বৈধতা দিতে চান না।

পশ্চিমা মিত্রদের করণীয় কী?

বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর উচিত ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং রাশিয়ার চাপে আপস না করা। যদি ইউক্রেনের সেনাবাহিনী সামরিক ময়দানে সফল হয়, তবে কূটনৈতিক আলোচনাতেও তাদের অবস্থান শক্তিশালী থাকবে।

ভবিষ্যৎ কী বলছে?

যুদ্ধের ফলাফল নির্ভর করছে পশ্চিমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ওপর। এটি শুধুমাত্র ইউক্রেনের ভূখণ্ড রক্ষার লড়াই নয়, বরং সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সংগ্রাম। এখন প্রশ্ন হলো, পশ্চিমা বিশ্ব দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পক্ষে থাকবে, নাকি স্বল্পমেয়াদি রাজনৈতিক স্বার্থে আপস করবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here