ব্যবসায়ী খান মো. আক্তারুজ্জামানের গ্রেফতার: ষড়যন্ত্র ও প্রতিপক্ষের চক্রান্ত?
রাজধানীর ব্যবসায়ী খান মো. আক্তারুজ্জামানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষদের ষড়যন্ত্রের শিকার এই ব্যবসায়ীকে র্যাব গ্রেফতার করে এবং পরবর্তীতে
আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মিথ্যা মামলার অভিযোগ
সূত্র অনুযায়ী, যে মামলায় আক্তারুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার বাদী নিজেই আদালতে
হলফনামার মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, ভুলবশত তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরপরও
রহস্যজনকভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ব্যবসা দখলের পাঁয়তারা
আক্তারুজ্জামানের পরিবারের দাবি, তার মালিকানাধীন লালমাটিয়ার এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল দখলের
জন্যই তাকে গ্রেফতার করানো হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও দখলের চেষ্টা চলছে।
রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র নাকি প্রতিহিংসা?
আক্তারুজ্জামান বিএনপি পরিবারের সন্তান, তার বাবা মাগুরা জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।
এর আগেও তিনি রাজনৈতিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০১৭ সালে একটি মামলায় তাকে
গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং ২০২৫ সালে র্যাবের হাতে গুম হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
র্যাবের ভূমিকা ও প্রশাসনিক বক্তব্য
র্যাব-২-এর এএসপি খান আসিফ তপু জানিয়েছেন, তারা শুধুমাত্র ডিবির রিকুইজিশনের ভিত্তিতে আক্তারুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছেন।
গুম ও মুক্তিপণ সংক্রান্ত অভিযোগ
খান মো. আক্তারুজ্জামান দাবি করেছেন, ২০২৫ সালে তিনি র্যাবের হাতে গুম হন এবং ২২ কোটি টাকা
মুক্তিপণ দিয়ে মুক্তি পান। তিনি গুমসংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন, যার তদন্ত এখনো চলমান।
শেষ কথা
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও ব্যবসায়িক স্বার্থের দ্বন্দ্বের কারণেই আক্তারুজ্জামান ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নাকি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সেটি সময়ই বলে দেবে।