মাগুরার ধর্ষণের শিকার শিশুর অবস্থা অপরিবর্তিত, এখনও লাইফ সাপোর্টে
মাগুরার আট বছরের ধর্ষণের শিকার শিশুটির শারীরিক অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক
হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে
রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য এবং শিশুটির স্বজনদের
সঙ্গে কথা বলে সোমবার সকালে জানা যায়, শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে।
ভুল তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করলেন চিকিৎসক ও স্বজনরা
রবিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কিছু পোস্টে দাবি করা হয়, শিশুটির শারীরিক
অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে। তবে এ তথ্য ভিত্তিহীন বলে নিশ্চিত করেছেন
চিকিৎসক ও শিশুটির পরিবারের সদস্যরা। মেডিকেল বোর্ডের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, “শিশুটির লাইফ
সাপোর্ট একবারের জন্যও খোলা হয়নি। সে এখনো সংকটাপন্ন এবং বেঁচে থাকার লড়াই করছে।”
ঘটনার পেছনের কাহিনি
মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশুটি। শিশুটির মা এই ঘটনায়
মামলা দায়ের করেন। মামলায় শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মাগুরার আদালত অভিযুক্তদের মধ্যে শিশুর বোনের শ্বশুরের সাত দিন এবং অন্য তিনজনের পাঁচ দিনের
রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
চিকিৎসার বর্তমান অবস্থা
গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে
নিয়ে আসা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে রাতেই ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় এবং
শনিবার সন্ধ্যায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বোর্ড গঠন
সিএমএইচের প্রধান সার্জনকে প্রধান করে আট সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
বোর্ডে রয়েছেন:
- সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞ
- স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ
- প্লাস্টিক সার্জন
- শিশু নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ
- অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ
- শিশু হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ
- শিশু বিভাগের সার্জন
- ইউরোলজি ও থোরাসিক সার্জন
এই ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শিশুটির সুস্থতার জন্য দেশবাসী প্রার্থনা করছে।