Home রাজনীতি ‘শিবির ট্যাগ’ দিয়ে নতুন ছাত্রসংগঠন থেকে জুলাই আন্দোলনকারীকে বাদ

‘শিবির ট্যাগ’ দিয়ে নতুন ছাত্রসংগঠন থেকে জুলাই আন্দোলনকারীকে বাদ

27
ছবি: সংগৃহীত
‘শিবির ট্যাগ’ দিয়ে বাদ শিক্ষার্থী, বিতর্কে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ’ এর আহ্বায়ক কমিটি থেকে ‘শিবির ট্যাগ’ দিয়ে এক শিক্ষার্থীকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৫ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মোস্তফা আহমদ।

কী অভিযোগ তুলেছেন মোস্তফা আহমদ?

মোস্তফা আহমদ, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্স শিক্ষার্থী এবং মাস্টারদা সূর্যসেন হলের আবাসিক ছাত্র, অভিযোগ করেন যে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ঢাবি শাখা থেকে তাকে অযৌক্তিকভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “কমিটিতে আমার নাম না দেখে সংগঠনের আহ্বায়ক আব্দুল কাদেরকে প্রশ্ন করি। তখন তিনি জানান, ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও দাবি করেন, “সার্চ কমিটির প্রধান হামজা মাহবুব আমাকে ছাত্রশিবির ট্যাগ দিয়ে কমিটি থেকে বাদ দিয়েছেন। অথচ আমি কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বৈরাচার পতন পর্যন্ত প্রতিটি ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। জুলাই অভ্যুত্থানেও আমি সম্মুখ সারির যোদ্ধা ছিলাম।”

সংগঠনের পক্ষ থেকে কী বলা হচ্ছে?

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, “মোস্তফা ৫ আগস্টের পর থেকে আমাদের কোনো কার্যক্রমে ছিলেন না। তাই তাকে কমিটিতে না রাখাই স্বাভাবিক।”

তিনি আরও বলেন, “শিবির প্রকাশ্যে রাজনীতি করে না, তাই আমরা অফলাইন-অনলাইন অ্যাক্টিভিটি বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সংগঠন স্বতন্ত্র ধারার, তাই শিবির সংশ্লিষ্টদের কমিটিতে রাখা হয়নি।”

কেন বিতর্ক তৈরি হয়েছে?

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ, সংগঠনটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে গড়ে উঠলেও একজন সক্রিয় ছাত্র আন্দোলনকর্মীকে ‘শিবির ট্যাগ’ দিয়ে বাদ দেওয়ার বিষয়টি ছাত্ররাজনীতির নতুন সংকট সৃষ্টি করতে পারে বলে বিশ্লেষকদের মত।

এই ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার দাবি করা সংগঠনটি নিজেরাই স্বচ্ছতার অভাব দেখিয়েছে। অন্যদিকে, সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তারা সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উপসংহার

বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করা এই সংগঠনটির সাম্প্রতিক বিতর্ক তাদের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে কী প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here