ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলা: নিহত ৫৩, উত্তেজনা চরমে
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ৫৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচ শিশু ও দুই নারী রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৯৮ জন। হুথি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আল আসবাহি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মার্কিন হামলায় হুথি নেতা নিহত: ওয়াশিংটনের দাবি
ওয়াশিংটন জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ হুথি নেতা রয়েছেন। তবে হুথিরা এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেনি।
হুথিদের পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি
হুথি নেতা আব্দুল মালিক আল হুথি ঘোষণা দিয়েছেন, যতদিন মার্কিন বাহিনী হামলা চালাবে, ততদিন তারা লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজগুলোকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করবে।
জাতিসংঘের শান্তির আহ্বান
রবিবার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ইয়েমেনে সব সামরিক কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজে হুথিদের হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তিনি এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে হুথিদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি তারা না থামে, তবে তাদের ওপর ‘নরক বৃষ্টি’ হবে, যা তারা আগে কখনও দেখেনি।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজ জানিয়েছেন, শনিবারের হামলার লক্ষ্য ছিল হুথি নেতাদের সরিয়ে দেওয়া। প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথও বলেন, “হুথিদের হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
ইরানের প্রতিক্রিয়া
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অধিকার নেই আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে হস্তক্ষেপ করার।” তিনি ইসরায়েলের গণহত্যা ও সন্ত্রাসবাদের সমর্থন বন্ধের আহ্বান জানান।
ইসরায়েলের অবরোধ ও হুথিদের অবস্থান
বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজা থেকে অবরোধ না তুললে হুথিরা লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজে হামলা চালিয়ে যাবে।
সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষাপট
- শনিবার থেকে মার্কিন বাহিনী হুথিদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের বিমান হামলা শুরু করে।
- হুথিরা ইসরায়েলকে তাদের প্রধান শত্রু মনে করে এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত না হলেও ইয়েমেনের সানা ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে।
- যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, হুথিরা তাদের সামরিক ও বাণিজ্যিক জাহাজে আক্রমণ চালিয়েছে, যার কারণে এই প্রতিশোধমূলক হামলা করা হয়েছে।