বিপিএলে চিটাগং কিংসের পারিশ্রমিক জটিলতায় শাহিদ আফ্রিদি, সহায়তা চাইলেন বিসিবির
বিপিএলে চিটাগং কিংসের শুভেচ্ছাদূত ও মেন্টর হিসেবে চুক্তির পুরো অর্থ না পাওয়ার অভিযোগ
তুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি। বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও দলের
কর্ণধার সামির কাদের চৌধুরির কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে বিসিবির সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে ই-মেইল করেও কোনো অগ্রগতি না হলে, প্রয়োজনে দুই দেশের
শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও চিঠি লিখবেন বলে জানিয়েছেন আফ্রিদি।
পারিশ্রমিক জটিলতা: আফ্রিদির অভিযোগ
চিটাগং কিংসের সঙ্গে ১ লাখ ডলারের চুক্তিতে যুক্ত হয়েছিলেন আফ্রিদি। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশে
আসার পর ৫০ হাজার ডলার এবং টুর্নামেন্ট চলাকালীন বাকি ৫০ হাজার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু
তিনি পেয়েছেন মাত্র ১৯ হাজার ডলার।
“প্রথমে বলা হয়েছিল, দ্রুত টাকা পরিশোধ করা হবে। কিন্তু পরে বারবার ঘোরানো হয়েছে। চুক্তির
শর্ত অনুযায়ী আমার সব দায়িত্ব পালন করেছি, কিন্তু টাকা দেওয়া হয়নি। সামির কাদেরের এমন
আচরণে হতবাক হয়েছি,” বলেন আফ্রিদি।
টুর্নামেন্টের মাঝপথে ব্যক্তিগত কাজে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন আফ্রিদি। ১৯ জানুয়ারি পুনরায়
বাংলাদেশে ফেরার কথা থাকলেও, চিটাগং কিংস কর্তৃপক্ষ তার জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করেনি।
এরপর থেকে দলের কর্ণধারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া পাচ্ছেন না তিনি।
বিসিবির কাছে সহায়তার আবেদন
আফ্রিদি বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে ই-মেইলে তার সমস্যার কথা জানান এবং হস্তক্ষেপ
কামনা করেন। চিঠিতে তিনি লেখেন,
“বিপিএলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আমার জন্য সম্মানের বিষয় ছিল। চুক্তি অনুযায়ী, পারিশ্রমিকের ৫০
শতাংশ আগেই পাওয়ার কথা ছিল, বাকিটা টুর্নামেন্ট চলাকালীন। কিন্তু মাত্র ১৯ হাজার ডলার
পেয়েছি। সব দায়িত্ব পালন করেও বাকি অর্থ পাইনি। বিসিবি সভাপতির কাছে অনুরোধ, যেন
চিটাগং কিংস কর্তৃপক্ষ আমার পাওনা পরিশোধ করে।”
বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,
“বাংলাদেশকে আমি দ্বিতীয় বাড়ি মনে করি। বিপিএল এবং বিসিবির ভাবমূর্তির কথা ভেবে এতদিন
কিছু বলিনি। তবে পারিশ্রমিক সংক্রান্ত জটিলতা যে কোনো লিগের ভিত্তি দুর্বল করতে পারে।
আশা করি, বিসিবির হস্তক্ষেপে বিষয়টির সমাধান হবে।”
চিটাগং কিংসের প্রতিক্রিয়া
চিটাগং কিংসের কর্ণধার সামির কাদের চৌধুরির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি আফ্রিদির অভিযোগ
অস্বীকার করেন। আমার সঙ্গে তার কথা হয়নি বেশ কিছুদিন। কোনো সমস্যা থাকলে তো আমার সঙ্গে আলাপ করবেই, বলেন সামির। তবে পুরো পারিশ্রমিক পরিশোধ না করার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।
২১ হাজার ডলার দেওয়া হয়েছে। বাকিটা পেয়ে যাবে। উনি তো আর ক্রিকেটার নন, উনার টাকা দিয়ে
দেব। এটা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। সামির আরও জানান, বিষয়টি আগেই বিসিবি সভাপতিকে অবগত
করেছেন। তবে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিপিএলে পারিশ্রমিক বিতর্ক এবারই প্রথম নয়। ক্রিকেটারদের পাওনা পরিশোধ নিয়ে বিভিন্ন দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তবে আফ্রিদির মতো তারকার অভিযোগ বিষয়টিকে আরও আলোচনায় নিয়ে এসেছে। এখন দেখার বিষয়, বিসিবি কী ব্যবস্থা নেয়।