ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের আহদনগর (ঠকপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা ও পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ ক্যাডার হানিফ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে শৈলকূপার রামচন্দ্রপুর মাঠে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণ
স্থানীয় সাংবাদিক চঞ্চল চৌধুরী জানান, রাত ১০টার দিকে রামচন্দ্রপুর এলাকায় হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে সেচ খালের পাশে তিনজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে এবং পুলিশকে খবর দেয়।শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, “গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শৈলকূপা ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় এলাকাটি নির্জন এবং এর আগেও এখানে চাঞ্চল্যকর ‘ফাইভ মার্ডার’ হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল।”
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইমরান জাকারিয়া জানান, “গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তিনি হানিফ, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক শীর্ষ ক্যাডার ও একাধিক হত্যা মামলার আসামি। বাকি দুজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
হত্যার দায় স্বীকার, হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা
হত্যাকাণ্ডের পর জাসদ গণবাহিনীর পক্ষ থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি বার্তা পাঠানো হয়। বার্তায় উল্লেখ করা হয়:
> “ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বাশির উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির কুখ্যাত ডাকাত বাহিনীর শীর্ষ নেতা হরিণাকুন্ডুর মো. হানিফ তার দুই সহযোগীসহ জাসদ গণবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। এই অঞ্চলের হানিফের সহযোগীদের শুধরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো, অন্যথায় একই পরিণতি ভোগ করতে হবে।”– কালু, জাসদ গণবাহিনী
পুলিশ বার্তাটি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে। কি কারণে এবং কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা এখনো নিশ্চিত নয়, বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরান জাকারিয়া।
নিহত হানিফের পরিচিতি
হানিফ পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, গুম, দখলদারি, ডাকাতি ও ধর্ষণের অভিযোগ ছিল।
এই হত্যাকাণ্ড এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে এবং বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।
