ঢাকার পরিবহনব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল (Dhaka Metro Rail Line-1)। ২০২৬ সালে চালু হওয়ার লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলছে। প্রাথমিকভাবে তিনটি রুটে পাতাল মেট্রোরেল চলবে, যা প্রতিদিন প্রায় ৮ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
মেট্রোরেলের সম্ভাব্য রুট ও সময়সূচি
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (DMRTDP) লাইন-১ প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, পাতাল মেট্রোরেল নিম্নলিখিত তিনটি রুটে চলবে:
1. বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর:
স্টেশন: ১২ টি
সময়সীমা: ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ড
2. নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল:
স্টেশন:৯টি
সময়সীমা: ২০ মিনিট ৩০ সেকেন্ড
3. কমলাপুর থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল:
স্টেশন: ১৬টি
সময়সীমা: ৩৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ড
মেট্রোরেলের গতি ও কার্যক্ষমতা
উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দূরত্ব ১৮.৯৩ কিলোমিটার। যাতায়াত সময় ৩৩ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড।
স্টেশনে যাত্রাবিরতির সময় ৩০-৪৫ সেকেন্ড।পাতাল রেলের সর্বোচ্চ পরিচালন গতি ৮০ কিমি/ঘণ্টা এবং উড়াল মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি ১০০ কিমি/ঘণ্টা।
দুই স্টেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ গতি থাকবে ৯৯ কিমি/ঘণ্টা।প্রতি মেট্রোরেলে যাত্রী ধারণক্ষমতা ৩,০৮৮ জন।
সর্বনিম্ন ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ড ফ্রিকোয়েন্সিতে মেট্রোরেল চলাচল করবে।
পাতাল মেট্রোরেলের সুফল
যানজট কমবে, শহরের যানবাহন চাপ হ্রাস পাবে।
জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানির ব্যবহার কমবে, যা পরিবেশবান্ধব।
অল্প সময়ে অধিকসংখ্যক যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে।কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ঢাকার জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে, এবং শহরের গতি আরও বৃদ্ধি পাবে।
নির্মাণ পরিকল্পনা
পাতাল মেট্রোরেল ১০-১৩ মিটার গভীরতায় নির্মিত হবে, তবে কমলাপুর থেকে রামপুরা পর্যন্ত ৩৪ মিটার গভীরতায় নির্মাণ করা হবে। কুড়িল থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত উড়াল অংশের উচ্চতা ১৪.১-১৮.৩ মিটার রাখা হয়েছে।
ঢাকার গণপরিবহনের এই যুগান্তকারী প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ঢাকা মহানগরী নতুন মাত্রা পাবে। মেট্রোরেল চালুর মাধ্যমে রাজধানীর যোগাযোগব্যবস্থায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসবে।