যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ড. মির্জা গালিব সম্প্রতি ঢাবি শিবিরের বর্তমান ও সাবেক নেতাদের প্রশংসা করে এক বিশেষ পোস্ট করেছেন। তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে করা এই পোস্ট তরুণদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির জীবন: স্মৃতিচারণ
ড. মির্জা গালিব জানান, তিনি ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং কার্জন হলে পড়াশোনা করেন। তিনি শহীদুল্লাহ হলে অবস্থান করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলো তার জীবনের সেরা সময় ছিল বলে উল্লেখ করেন, যেখানে পড়াশোনা, রাজনীতি ও বিতর্কের চর্চা একসঙ্গে চলত।
তিনি বলেন,
“আমরা বেশ কয়েকজন তরুণ তুর্কি ছিলাম, সিনিয়র-জুনিয়র মিলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্য দিয়ে শিবির করতাম। একসঙ্গে শিবিরের সদস্য হয়েছিলাম, তখন বুলবুল ভাই কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। আমাদের সেই বন্ধুত্ব এখনো অটুট রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, তার সময়ে ঢাবি শিবিরের সদস্যরা উদীয়মান শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, প্রকৌশলী, চিকিৎসক ও আলেম হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বিদেশে থেকেও ঢাবি শিবিরের সঙ্গে সংযোগ
২০০৯ সালে কানাডায় পিএইচডি করতে যাওয়ার পরও গত ১৫ বছর ধরে তিনি ঢাবি শিবিরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তিনি জানান,
“এই সময়ের সকল সভাপতি ও সেক্রেটারিকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। যতবার দেশে গেছি, ঢাবি শিবিরের সদস্য বৈঠকে অংশ নিয়েছি।”
তিনি বলেন, সাধারণত আগের প্রজন্ম মনে করে নতুনদের যোগ্যতা কম, কিন্তু ঢাবি শিবিরের বর্তমান প্রজন্মকে দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন।
“তাদের আলোচনা, দেশ-রাজনীতি-ইসলাম নিয়ে তাদের উপলব্ধি দেখলে মনে হয় তারা ক্রমাগত উন্নতি করেছে।”
ঢাবি শিবিরের নতুন নেতৃত্বকে প্রশংসা
ড. গালিব বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে সাদিক-ফরহাদের ভূমিকা ঢাবি শিবিরের সফলতার চূড়ান্ত প্রকাশ। তিনি জুনায়েদ, রিফাত, শরফুদ্দীন ও সিবগাতুল্লাহর নেতৃত্বকে অসাধারণ বলে অভিহিত করেন।
“আমরা ছাত্রজীবনে যে স্বপ্ন দেখতাম—সুস্থ রাজনীতি, ইনসাফের নীতি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও ইসলামী শিক্ষার আলোকে সমাজ ও রাষ্ট্রকে আলোকিত করা—এই নতুন নেতৃত্ব সেটি বাস্তবায়ন করবে ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও বলেন,
“যখন কৈশোরের ও তারুণ্যের স্বপ্ন মরে না, তখন এক অনির্বচনীয় আনন্দ হয়।”
উপসংহার
ড. মির্জা গালিব ঢাবি শিবিরের তরুণ নেতৃত্বকে ভবিষ্যতের আশার আলো হিসেবে দেখছেন এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি দোয়া করেছেন,
“আল্লাহ তাদের দেশের, মানুষের ও উম্মাহর কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দান করুন।”