সংবিধান ও নির্বাচন সংস্কার নিয়ে বিএনপির অবস্থান: সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সংবিধান ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছে বিএনপি। তবে, নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে—এমন কোনো সংস্কার প্রস্তাবে সমর্থন দেবে না দলটি।
সংস্কার ইস্যুতে বিএনপির কৌশল ও জাতীয় ঐকমত্য
বিএনপি এবং এর মিত্ররা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবের ওপর অভিন্ন মতামত তুলে ধরতে কাজ করছে। ইতোমধ্যে, সংস্কারের প্রস্তাবগুলোর পর্যালোচনা ও আলোচনার ভিত্তিতে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বৈঠক হয়েছে।
- বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক তিনটি দল ইতোমধ্যে তাদের মতামত জমা দিয়েছে
- বিএনপি আগামী সপ্তাহে তাদের আনুষ্ঠানিক মতামত জমা দিতে পারে
- জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি তাদের দলীয় অবস্থান তুলে ধরবে
বিএনপির সংস্কার প্রস্তাবনায় কী থাকছে?
বিএনপি রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখার সঙ্গে মিল রেখে নির্বাচন ও প্রশাসনিক সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। দলটির প্রস্তাবনাগুলো হলো—
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান
- সংসদীয় নির্বাচনে প্রার্থিতার ন্যূনতম বয়স ২১ করার বিরোধিতা
- প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই টার্মে সীমাবদ্ধ রাখা, তবে টানা দুইবার ক্ষমতায় থাকার বিরুদ্ধে মত
- সংবিধান ও নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ, দায়িত্ব ও ক্ষমতা নির্ধারণে স্বচ্ছতা আনার পক্ষে
- দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বিচার বিভাগ সংস্কারে ইতিবাচক অবস্থান
সংবিধান ও নির্বাচন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা কেন?
বিএনপি মনে করে, আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানকে একাধিকবার সংশোধন করে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। ফলে, নির্বাচনী ব্যবস্থা দলীয়করণ হয়েছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। এজন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সংবিধান ও নির্বাচন ব্যবস্থার মৌলিক সংস্কার অপরিহার্য।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিএনপির অংশগ্রহণ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে ১৪ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হচ্ছে। বিএনপি ও এর মিত্ররা পরবর্তী সপ্তাহে তাদের মতামত জমা দেবে।