Home রাজনীতি শেখ হাসিনাকে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ডেকেছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন

শেখ হাসিনাকে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ডেকেছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন

100
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে ডেকেছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়

তদন্তের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে জাতীয়

স্বাধীন তদন্ত কমিশন। শনিবার (৮ মার্চ) কমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,

আগামী ৭ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বা অনলাইনে সাক্ষ্য দিতে হবে।

যাদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ডাকা হয়েছে:

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক
সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস (ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন)
সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম (গোপালগঞ্জ-২)
সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩)
সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজম (জামালপুর-৩)
সাবেক সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম (ঢাকা-৮)
অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ শামসুল আলম (৪৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের তৎকালীন অধিনায়ক)
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর (ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক)
অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মঈন উ আহমেদ (সাবেক সেনাপ্রধান)
অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজ আহমেদ (সাবেক সেনাপ্রধান)
হাসান মাহমুদ খন্দকার (র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক)
আব্দুল কাহার আকন্দ (সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা)
নূর মোহাম্মদ (সাবেক আইজিপি)
মনিরুল ইসলাম (সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি)

সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া ও সময়সীমা
  • সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
  • সাক্ষীরা ৭ দিনের মধ্যে সুবিধামতো সময়সূচি লিখিতভাবে কমিশনকে জানাতে পারবেন।
  • ফোন, ই-মেইল বা চিঠির মাধ্যমে সময়সূচি জমা দেওয়া যাবে।
সাক্ষ্য দিতে হবে যেভাবে:

কমিশনের কার্যালয়ে সরাসরি উপস্থিত হয়ে
অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে

যোগাযোগের ঠিকানা:
মোবাইল: +৮৮০১৭১৪০২৬৮০
ই-মেইল: commission@bdr-commission.org
কমিশন কার্যালয়: বিআরআইসিএম ভবন, সপ্তম তলা, (সায়েন্স ল্যাবরেটরি) ড. কুদরত-ই-খুদা রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫।

আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনো সাক্ষী যদি অসহযোগিতা করেন, তবে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন আইন অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।

এই তদন্তের মাধ্যমে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত সত্য উদঘাটন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here