ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ ও মার্কিন সমর্থন নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেনবিষয়ক দূত কিথ কেলগের বৈঠক-পরবর্তী পরিকল্পিত সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়েছে।
কেন বাতিল হলো জেলেনস্কি-কেলগ সংবাদ সম্মেলন?
গত বৃহস্পতিবার এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। মূলত, ওয়াশিংটন ও কিয়েভের মধ্যকার রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে এটি বাতিল হয়।
জেলেনস্কি ও অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কেলগ কেবল সাংবাদিকদের ছবি তোলার সুযোগ দেন, তবে কোনো বক্তব্য দেননি বা প্রশ্নের উত্তরও দেননি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র সেরহি নিকিফোরভ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই সংবাদ সম্মেলন বাতিলের অনুরোধ আসে।
ট্রাম্পের ইউক্রেন নীতি পরিবর্তন ও ইউরোপের প্রতিক্রিয়া
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন, যা ইউরোপের অনেক নেতাকে ক্ষুব্ধ করেছে। এ কারণেই ট্রাম্প ও জেলেনস্কির সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হচ্ছে এবং এতে ইউক্রেনে মার্কিন সমর্থনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া
জেলেনস্কি তাঁর টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক পোস্টে জানিয়েছেন, কেলগের সঙ্গে তাঁর বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। তাঁরা নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও রাশিয়া থেকে ইউক্রেনীয় বন্দিদের ফেরানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠাকে নির্ভরযোগ্য ও স্থায়ী করতে পারি। আর এটি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে রাশিয়া আর কখনো যুদ্ধ বাঁধাতে না পারে।”
ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি ও কেলগের ভূমিকা
কেলগ ট্রাম্পের প্রতিরক্ষাবিষয়ক শীর্ষ উপদেষ্টা ছিলেন এবং তাঁর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অন্যতম স্থপতি। ট্রাম্পের ইউক্রেন নীতিতে আসন্ন পরিবর্তন ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ এবং মার্কিন সমর্থনের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
সারসংক্ষেপ
✅ যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে জেলেনস্কি-কেলগ সংবাদ সম্মেলন বাতিল
✅ ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মতবিরোধ বৃদ্ধি
✅ ইউক্রেন যুদ্ধ ও মার্কিন সমর্থনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
✅ ট্রাম্পের নীতিতে পরিবর্তন নিয়ে ইউরোপের ক্ষোভ
এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ এখন ওয়াশিংটন, কিয়েভ ও মস্কোর কৌশলগত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।