জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের দাবি: ‘জুলাই অভ্যুত্থানের দমন–পীড়নের দ্রুত বিচার চাই’
আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের
কবর জিয়ারত করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। সেখানে দলের আহ্বায়ক
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে যে দমন–পীড়ন হয়েছে, তার দ্রুত বিচার চাই।
ন্যায়বিচারের মাধ্যমে আত্মত্যাগকারী ও আহত ব্যক্তিদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করা সম্ভব।
এই বিচার যেন ভবিষ্যতের জন্য একটি নিদর্শন হয়ে থাকে, যাতে আর কোনো ফ্যাসিবাদ
মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।’
এর আগে সকাল সাড়ে আটটার দিকে এনসিপির নেতারা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান
রচনা এবং প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে। জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণপরিষদ নির্বাচন
ও সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করা সম্ভব, যা নতুন কাঠামোর মাধ্যমে একটি নতুন
বাংলাদেশ গঠনে সহায়তা করবে।’
এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, ‘যত দিন না পর্যন্ত খুনি হাসিনার
ফাঁসি দেখছি, তত দিন যেন কেউ ভুলক্রমেও নির্বাচনের কথা না বলে।’ তিনি আরও বলেন,
খুনি হাসিনা লাশ কোথায় ফেলেছে, তা এখনও জানা যায়নি। মায়েরা লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
খুনির বিচার না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোনো বিষয় নিয়ে ভাবা অসম্ভব।
এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘সরকার ছাত্র-জনতার রক্তের
ওপর ক্ষমতায় এসেছে। তাদের মনে রাখতে হবে, যদি দ্রুততম সময়ে বিচার নিশ্চিত না করা হয়,
তাহলে পুরো প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। প্রয়োজনে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে দ্রুত
বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
এ সময় রায়েরবাজারে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী,
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।